অনলাইন ক্যারিয়ার : জেনে, শুনে ও বুঝে শুরু করুন
14950 Views

অনলাইনে আয় করার জন্য বিভিন্ন ধরণের কাজ আছে। কিন্তু আমরা সঠিক ভাবে জানিনা কি কি ধরণের কাজ করা হয় অনলাইনে। আমাদের দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান আছেন , যাঁরা অনলাইন আয় বিষয়ক সেমিনার ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তাঁরা যে সমস্ত কোর্সগুলোতে প্রশিক্ষন দিয়ে থাকেন, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কোর্স হলো:  গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট, থিম কাস্টোমাইজেসন, কনটেন্ট রাইটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, সিপিএ মার্কেটিং, ফরেক্স ট্রেড, এসইও, ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন মার্কেটিং ইত্যাদি ইত্যাদি এবং ইত্যাদি। মজার ব্যাপার হলো, উল্লেখিত কাজগুলো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলে করা যায়না। কিন্তু লক্ষণীয় ব্যাপার, অনেকেই আছেন যারা কোনো কাজ সম্পর্কে সামান্য ধারণা নিয়েই অনলাইনে নেমে যান আয় করতে।  ইনকাম তো হয়ই না উল্টা ডিমোটিভেটেড হয়ে চায়ের দোকানে বসে বসে আড্ডা দেন আর অন্যদের হাসির খোরাক যোগান। যাহোক,  সিপিএ  মার্কেটিং, ফরেক্স ট্রেড, এসইও, ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন মার্কেটিং সম্পর্কে আমার পরিষ্কার ধারণা নেই তাই এগুলো নিয়ে আলোচনায় গেলাম না। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট, থিম কাস্টোমাইজেসন, কনটেন্ট রাইটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা আছে। ওয়েবকোড লিমিটেডে (https://www.webcodeltd.com) দীর্ঘ ৫ বছর কাজ করার সুবাদে যে অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে, তা থেকে এটুকু বুঝতে পেরেছি; এখান থেকে প্যাসিভ ইনকামও সম্ভব। তবে এই কাজগুলো ধীর স্থীর ভাবে সময় দিয়ে শিখতে হয়। আজ আসলাম, একটা নাম মাত্র কোর্স করলাম আর আগামীকাল থেকে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করলাম; ব্যাপারটা এমন নয়। এই কাজ গুলোর গণ্ডি ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর; এর জন্য পরিশ্রমও তেমন। আর তাই এই কাজগুলোর ভবিষ্যতও উজ্জ্বল ও মজবুত। ব্যতিক্রম কেউ কেউ থাকতে পারেন। আমার কথাগুলো আশাবাদীদের জন্য ব্যতিক্রমদের  জন্য নয়। এবার আসি মূলকথায়,  ক্লাস ওয়ান থেকে শুরু করে মাস্টার্স পাস করার পরও আমরা দ্বিধায় থাকি চাকরি নামক সোনার হরিণ পাবো কিনা। যদিও সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা, মা-বাবার স্বপ্ন, প্রেয়সী/প্রিয় মানুষের  অনুপ্রেরণা ও অতি মূল্যবান সময় বিনিয়োগ করেছি সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায়। অজানা সংশয় সর্বদা তাড়া করে ফেরে, একটা চাকরি পাবোতো? অথচ,  এই অজানা সংশয়কে আমরা সহজেই দূর করতে পারি। চাকরির আশায় আমাদের বসে থাকতে হবেনা যদি পড়ালেখা চলাকালীন সময়ে বা পড়ালেখা শেষ হওয়া মাত্রই কারিগরী শিক্ষা গ্রহণ করি। প্রশ্ন আসতে পারে, আমি তো জেনারেল লাইনে পড়ালেখা করেছি, কারিগরী জ্ঞান আবার দরকার কেন? তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে এমন কথা মানায় না। বাংলাদেশের মতো ডিজিটাল দেশে আপনার যেই সেক্টরেই চাকরি হোকনা কেন, কারিগরী জ্ঞান আপনার থাকতেই হবে। নতুবা আপনি পিছিয়ে পড়বেন। এখন অনেকেই এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে তিনমাস বসে না থেকে অন্তত কম্পিউটার জ্ঞান টা আয়ত্ব করে থাকেন। আর এই অবস্থায় আপনি চাইলেই আপনার ক্যারিয়ার সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের অনেকেই অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করে বেকারত্ব দূর করছেন। তাহলে আপনি পিছিয়ে কেন? করণীয় কি?

১. একটা কম্পিউটার

২. নেট কানেক্শন

৩. ২/৩ বছর সময় (রোজ ২ ঘন্টা করে সময় দিলে ২/৩ বছর ,  ৪ ঘন্টা করে সময় দিলে ১/১.৫ বছর , ৮ ঘন্টা করে সময় দিলে ৬/৯মাস (নির্ভর করবে আপনার প্রচেষ্টার উপর।) )

৪. কাজ শেখার মানসিকতা

৫. ধৈর্য

৬. লেগে থাকা

৭. একজন মেন্টরের তত্ত্বাবধানে থাকা

৮. সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখা

বি. দ্র. যেহেতু লম্বা আলোচনা আজ এ পর্যন্তই। আগামী পর্ব  শীঘ্রই আসবে। ভালো থাকবেন।

কোন জিজ্ঞাসা থাকলেঃ https://www.facebook.com/groups/WebCodeInstitute/ পোষ্ট দিন।

অথবা ইনবক্স করুনঃ https://www.facebook.com/WebCodeInstitute/

চলবে………

কন্ট্রিবিউটরঃ মাজেদুল ইসলাম